## অধ্যায় ১: অন্ধকারের ছায়া
জয়পুরের নির্জন গ্রামের পথ ধরে চলেছেন অর্ণব। রাতের অন্ধকারে তার পা পিছলে যায় একটি মৃত দেহের উপর। সে দেহ তার পরিচিত মুখ, গ্রামের পুরোহিত বাবুর। কিন্তু পুরোহিত বাবু তো গত সপ্তাহেই মারা গেছেন, তাহলে এই দেহ কার?
অর্ণব তদন্ত শুরু করেন এবং জানতে পারেন যে গ্রামের মানুষজন একটি রহস্যময় ছায়ার কথা বলছেন, যা রাতের অন্ধকারে ঘুরে বেড়ায়। অর্ণবের সন্দেহ হয়, এই ছায়ার সাথে পুরোহিত বাবুর মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা।
এক রাতে, অর্ণব অনুসরণ করেন সেই ছায়াকে এবং পৌঁছান এক পুরনো মন্দিরে। মন্দিরের ভেতরে তিনি দেখতে পান এক অজানা মূর্তি, যার চোখ দুটি জ্বলজ্বল করছে। অর্ণব বুঝতে পারেন যে এই মূর্তিটি আসলে একটি প্রাচীন রত্নের খনির মানচিত্র।
কিন্তু তার আগেই অর্ণব আবিষ্কার করেন যে পুরোহিত বাবু আসলে মারা যাননি, তিনি নিজেই সেই ছায়া। তিনি নিজের মৃত্যুর নাটক করেছিলেন যাতে কেউ তার রত্নের খনির সন্ধান না পায়। অর্ণব এই রহস্য উন্মোচন করেন এবং গ্রামের মানুষজনকে সত্য জানান।
কিন্তু এই গল্পের আসল টুইস্ট হল, অর্ণব নিজেই একজন লেখক, যিনি তার নতুন উপন্যাসের জন্য গল্প সংগ্রহ করছিলেন। পুরোহিত বাবুর সাথে তার এই অভিজ্ঞতা তার উপন্যাসের মূল কাহিনী হয়ে উঠল।
## অধ্যায় ২: মুখোশের আড়ালে
জয়পুরের নির্জন গ্রামের পথ ধরে চলেছেন অর্ণব। রাতের অন্ধকারে তার পা পিছলে যায় একটি মৃত দেহের উপর। সে দেহ তার পরিচিত মুখ, গ্রামের পুরোহিত বাবুর। কিন্তু পুরোহিত বাবু তো গত সপ্তাহেই মারা গেছেন, তাহলে এই দেহ কার?
অর্ণব তদন্ত শুরু করেন এবং জানতে পারেন যে গ্রামের মানুষজন একটি রহস্যময় ছায়ার কথা বলছেন, যা রাতের অন্ধকারে ঘুরে বেড়ায়। অর্ণবের সন্দেহ হয়, এই ছায়ার সাথে পুরোহিত বাবুর মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা।
এক রাতে, অর্ণব অনুসরণ করেন সেই ছায়াকে এবং পৌঁছান এক পুরনো মন্দিরে। মন্দিরের ভেতরে তিনি দেখতে পান এক অজানা মূর্তি, যার চোখ দুটি জ্বলজ্বল করছে। অর্ণব বুঝতে পারেন যে এই মূর্তিটি আসলে একটি প্রাচীন রত্নের খনির মানচিত্র।
কিন্তু তার আগেই অর্ণব আবিষ্কার করেন যে পুরোহিত বাবু আসলে মারা যাননি, তিনি নিজেই সেই ছায়া। তিনি নিজের মৃত্যুর নাটক করেছিলেন যাতে কেউ তার রত্নের খনির সন্ধান না পায়। অর্ণব এই রহস্য উন্মোচন করেন এবং গ্রামের মানুষজনকে সত্য জানান।
কিন্তু এই গল্পের আসল টুইস্ট হল, অর্ণব নিজেই একজন লেখক, যিনি তার নতুন উপন্যাসের জন্য গল্প সংগ্রহ করছিলেন। পুরোহিত বাবুর সাথে তার এই অভিজ্ঞতা তার উপন্যাসের মূল কাহিনী হয়ে উঠল।
## অধ্যায় ২: মুখোশের আড়ালে
অর্ণবের আবিষ্কারের পর থেকে গ্রামের মানুষজন পুরোহিত বাবুর প্রতি সন্দেহভাজন হয়ে উঠে। তারা তাকে একজন প্রতারক হিসেবে দেখতে থাকে। কিন্তু অর্ণব জানে যে পুরোহিত বাবুর মধ্যে আরও একটি গভীর রহস্য লুকিয়ে আছে।
এক রাতে, অর্ণব পুরোহিত বাবুকে অনুসরণ করে এক গুপ্ত গুহায় পৌঁছান। গুহার ভেতরে তিনি দেখতে পান এক অজানা সভ্যতার চিহ্ন। সেখানে প্রাচীন লিপি খোদাই করা পাথরের ফলক এবং সোনার মুদ্রা পড়ে আছে। অর্ণব বুঝতে পারেন যে এই গুহা আসলে একটি প্রাচীন রাজার সমাধি।
পুরোহিত বাবু অর্ণবকে জানান যে তিনি আসলে একজন ইতিহাসবিদ এবং এই সমাধির সন্ধান তিনি বহু বছর ধরে করছিলেন। তার মৃত্যুর নাটক ছিল এই গুহার রক্ষা করার একটি উপায়।
অর্ণব এবং পুরোহিত বাবু সিদ্ধান্ত নেন যে তারা এই সমাধির রহস্য বিশ্বের সামনে আনবেন। কিন্তু তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এক অপরাধী চক্র, যারা এই সমাধির ধনরত্ন চুরি করতে চায়।
এক অপ্রত্যাশিত মোড়ে, অর্ণব আবিষ্কার করেন যে গ্রামের একজন সম্মানিত ব্যক্তি আসলে এই চক্রের মাথা। তিনি পুরোহিত বাবুর উপর সন্দেহ ঘোরাতে চেয়েছিলেন যাতে তার অপরাধের কাজ গোপন থাকে।
অর্ণব এবং পুরোহিত বাবু একসাথে মিলে এই অপরাধী চক্রকে পরাজিত করেন এবং গ্রামের মানুষজনের সামনে সত্য উন্মোচন করেন। গ্রামের মানুষজন তাদের ভুল বুঝতে পারেন এবং পুরোহিত বাবুকে তার সাহসিকতার জন্য সম্মান জানান।
অর্ণবের উপন্যাসের শেষ পাতায় তিনি লেখেন, "মানুষের মুখোশের আড়ালে অনেক রহস্য লুকিয়ে থাকে, কিন্তু সত্যের আলোয় সব অন্ধকার দূর হয়ে যায়।"
## অধ্যায় ৩: রহস্যের উন্মোচন
## অধ্যায় ৩: রহস্যের উন্মোচন
ঘন জঙ্গলের মাঝে প্রাচীন মন্দিরটি দাঁড়িয়ে ছিল, এর পাথরের দেওয়ালগুলিতে রহস্যময় চিহ্ন খোদাই করা। অর্ণব, ইতিহাসবিদ, শিলালিপির টুকরোগুলি অনুবাদ করেছিলেন, কিন্তু আসল অর্থ তার কাছে অধরা ছিল। কিংবদন্তি গুঞ্জন করে একটি লুকানো ধনের কথা—একটি রত্ন, যা নিয়তি পরিবর্তন করতে পারে।
যত গভীরে অর্ণব মন্দিরের রহস্যে প্রবেশ করেন, ততই তিনি একটি গোপন পথ আবিষ্কার করেন যা একটি ভূগর্ভস্থ কক্ষে নিয়ে যায়। বাতাস ঠান্ডা হয়ে আসে, এবং দেওয়ালগুলি প্রাচীন শক্তি দিয়ে কম্পিত হয়। সেখানে, মাঝখানে, একটি অলংকৃত পেডেস্টালের উপর একটি একক রত্ন—হার্টস্টোন।
হার্টস্টোন কোনো সাধারণ রত্ন নয়। বলা হয়, এটি ভাগ্য পুনর্লিখনের ক্ষমতা ধারণ করে, এর অধিকারীকে অকল্পনীয় ক্ষমতা দান করে। কিন্তু এর সাথে একটি মূল্য আছে—বাস্তবতার বিঘ্নিত হওয়া। অর্ণব দ্বিধা করেন। তিনি কি রত্নটি দাবি করবেন এবং পরিণাম মেনে নেবেন, নাকি তা অস্পর্শিত রাখবেন?
যখন তিনি হার্টস্টোনের দিকে হাত বাড়ান, দেওয়ালগুলি কাঁপতে থাকে, এবং কক্ষটি উজ্জ্বল আলোয় পূর্ণ হয়। অর্ণবের মন দৌড়ায়। কিংবদন্তিগুলি যদি সত্যি হয়? যদি রত্নটি বিশ্বকে পুনরায় গঠন করতে পারে? তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—তার কৌতূহল বা সমস্ত অস্তিত্বের নিরাপত্তা।
ঠিক তখনই, একটি কণ্ঠ কক্ষের মধ্যে প্রতিধ্বনিত হয়। "বুদ্ধিমানের মতো চয়ন করুন, অন্বেষক," এটি ফিসফিস করে। "কারণ হার্টস্টোন কোনো দয়া জানে না।"
অর্ণব দ্বিধা করেন, মহত্ত্ব এবং ভয়ের মধ্যে ছিঁড়ে। কিন্তু নিয়তির অন্য পরিকল্পনা ছিল। যখন তিনি রত্নটি স্পর্শ করেন, স্মৃতি তার মনে বন্যা বয়ে যায়—বিকল্প বাস্তবতার দৃশ্য, বিভক্ত সময়রেখা, এবং অসীম পছন্দের ভার।
হার্টস্টোন কম্পিত হয়, অর্ণবের সারাংশের সাথে মিশে যায়। তিনি নিঃশ্বাস ফেলেন যখন নতুন ক্ষমতা তার মধ্যে প্রবাহিত হয়। তিনি সময় বাঁকাতে, অতীতে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে, এবং ঘটনাবলী পরিবর্তন করতে পারেন। কিন্ত..........
নেক্সট পার্ট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন
## অধ্যায় ৪: রহস্যের উন্মোচন (চলমান)
## অধ্যায় ৪: রহস্যের উন্মোচন (চলমান)
...হার্টস্টোন কম্পিত হয়, অর্ণবের সারাংশের সাথে মিশে যায়। তিনি নিঃশ্বাস ফেলেন যখন নতুন ক্ষমতা তার মধ্যে প্রবাহিত হয়। তিনি সময় বাঁকাতে, অতীতে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে, এবং ঘটনাবলী পরিবর্তন করতে পারেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারেন যে এই ক্ষমতা তার নিজের অস্তিত্বের সাথে এক অদৃশ্য বন্ধন তৈরি করেছে।
অর্ণব তার নতুন ক্ষমতার সাথে পরীক্ষা করেন। তিনি সময়ের ধারাকে পিছনে নিয়ে যান, যেখানে পুরোহিত বাবুর সাথে তার প্রথম দেখা হয়েছিল। তিনি দেখতে পান যে পুরোহিত বাবু আসলে কোনো প্রতারক নন, বরং একজন সত্যিকারের রক্ষক, যিনি তার জীবন বিপন্ন করে এই গুহার রহস্য রক্ষা করেছেন।
অর্ণব ফিরে আসেন বর্তমানে, এবং তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে হার্টস্টোনের ক্ষমতা বিশ্বের জন্য খুবই বিপজ্জনক। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে রত্নটি ফেরত দেবেন এবং এর অস্তিত্ব গোপন রাখবেন, যাতে কেউ আর এর ক্ষমতা দ্বারা প্রলোভিত না হয়।
অর্ণবের এই সিদ্ধান্তের ফলে গ্রামের মানুষজন তাকে একজন নায়ক হিসেবে দেখতে থাকে। তারা বুঝতে পারে যে সত্যিকারের শক্তি হল নিজের অহংকার এবং লোভ নিয়ন্ত্রণ করা। অর্ণবের উপন্যাসের শেষ পাতায় তিনি লেখেন, "সত্যিকারের শক্তি হল নিজের অন্তরের কথা শোনা, এবং সেই শক্তি দিয়ে বিশ্বের ভালোর জন্য কাজ করা।"
## অধ্যায় ৪: সময়ের সাথে যুদ্ধ
## অধ্যায় ৪: সময়ের সাথে যুদ্ধ
হার্টস্টোনের ক্ষমতা নিয়ে অর্ণব যখন বিভিন্ন সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করছেন, তখন তিনি একটি ভয়ানক সত্য আবিষ্কার করেন। প্রতিটি সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে তার নিজের অস্তিত্ব ঝুঁকিতে পড়ে। তিনি বুঝতে পারেন যে হার্টস্টোনের ক্ষমতা শুধু সময়কেই পরিবর্তন করে না, বরং এটি বাস্তবতার মূল কাঠামোকেও বিকৃত করে।
একটি সময়ে, অর্ণব দেখতে পান যে তিনি একটি বিকল্প বাস্তবতায় আছেন, যেখানে তিনি কখনো ইতিহাসবিদ হয়ে ওঠেননি। তিনি একজন সাধারণ গ্রামবাসী, যার জীবনে কোনো রোমাঞ্চ নেই। এই বাস্তবতায়, পুরোহিত বাবু একজন অপরাধী চক্রের নেতা এবং গ্রামের মানুষজন তার অধীনে ভয়ে বাস করে।
অর্ণব বুঝতে পারেন যে তার প্রতিটি পদক্ষেপ একটি নতুন বাস্তবতা সৃষ্টি করে, যেখানে তার প্রিয়জনরা বিপদে পড়ে এবং তার নিজের অস্তিত্ব মুছে যেতে পারে। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে হার্টস্টোনের ক্ষমতা ব্যবহার করা বন্ধ করবেন এবং এটিকে তার আসল স্থানে ফিরিয়ে দেবেন।
কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, অর্ণব একটি শেষ সময় ভ্রমণ করেন, যেখানে তিনি তার প্রথম প্রেমিকার সাথে দেখা করেন। তিনি তাকে বলেন যে তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত তার কাছে মূল্যবান এবং তিনি তার জন্য সব কিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত। তার প্রেমিকা তাকে বলেন যে তিনি তার সাথে থাকবেন, কিন্তু তারা যেন সময়ের সাথে খেলা না করেন।
অর্ণব ফিরে আসেন বর্তমানে এবং হার্টস্টোনকে তার আসল স্থানে ফিরিয়ে দেন। তিনি বুঝতে পারেন যে সময়ের সাথে খেলা করা কখনোই ঠিক নয়, এবং প্রতিটি মুহূর্তের মূল্য আছে। তিনি তার উপন্যাসের শেষ পাতায় লেখেন, "সময় হল এমন একটি ধারা, যা আমাদের জীবনের গল্প লেখে, এবং প্রতিটি মুহূর্ত হল একটি অমূল্য রত্ন।"